Sohoje Bangla Banan
বাংলা বানান নিয়ে আমাদের দেশে যেমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, পশ্চিমবঙ্গেও তেমনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে বাংলা বানানের বিভিন্ন রূপ পরিলক্ষিত হয়। অথচ উভয় বাংলায় একটি রূপ ব্যবহৃত হলে অনেক বিভ্রান্তিই দূর হয়ে যেত। আমাদের দেশে বানানবিষয়ক কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রধান দায়িত্ব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির। কিন্তু বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও বইসমূহে বানানের ভিন্ন ভিন্নরূপ বিভ্রান্তিসৃষ্টি করে বৈকি! এক্ষেত্রে পণ্ডিতবর্গের মতদ্বৈততা বিশেষ কারণ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। তবে বাংলা আমরা মনে করি বাংলা একাডেমি সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করতে পারলে বাংলা বানানবিষয়ক নৈরাজ্য অনেকাংশেই লুপ্ত হবে। বিশেষত সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহও যদি শুদ্ধ বানানরীতির চর্চা করে তাহলেও বাংলা বানানবিষয়ক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দূরীভূত হতে পারে। এসব বিবেচনায়, বাংলা একাডেমি প্রণীত বানানরীতিই গ্রহণ করা আবশ্যক। বর্তমান সংকলনেও বাংলা একাডেমি প্রণীত বানানরীতিকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এই সংকলনের প্রয়োজনীয়তা কী? সহজে বলা যায়, এই সংকলনে প্রায়শ ভুল হতে পারে এমন সব শব্দের সঠিক রূপটি প্রকাশ করা হয়েছে। আবার সহজ শব্দ ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত যে বাংলা শব্দভাণ্ডারকে সংকুচিত করে চলেছি- তার বিপরীতে অপ্রচলিত শব্দও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই সাথে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বানানরীতিওঅন্তর্ভুক্ত আছে। এতে করে স্কুল পর্যায় থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত সঠিক বানানের চর্চা বাহিত হতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস। অতীব সহজে সঠিক বানান খুঁজে পাওয়ার প্রয়াস আছে এই সংকলনে।আমরা মনে করি পূর্বে প্রচলিত শব্দসমূহের প্রমিতকরণের মধ্য দিয়ে যে-রূপ নির্ধারিত হয়েছে তাই ব্যবহার করা প্রয়োজন। তাতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শব্দ ও ভাষা দূষণ থেকে মুক্তি পাবে। এই সংকলনটি শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের পাঠকের উপকারে আসবে বলেই বিশ্বাস করি।..
- Brand: BHASHACHITRA
- Product Code: Bhashachitra Book
- Availability: In Stock
- ISBN: 978-984-94105-9-1
- Total Pages: 232
- Edition: February 2020
- Book Language: Bangla
- Available Book Formats:Hardcover
- Publication Date: 2020-02-01
বাংলা বানান নিয়ে আমাদের দেশে যেমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, পশ্চিমবঙ্গেও তেমনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে বাংলা বানানের বিভিন্ন রূপ পরিলক্ষিত হয়। অথচ উভয় বাংলায় একটি রূপ ব্যবহৃত হলে অনেক বিভ্রান্তিই দূর হয়ে যেত। আমাদের দেশে বানানবিষয়ক কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রধান দায়িত্ব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির। কিন্তু বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও বইসমূহে বানানের ভিন্ন ভিন্নরূপ বিভ্রান্তিসৃষ্টি করে বৈকি! এক্ষেত্রে পণ্ডিতবর্গের মতদ্বৈততা বিশেষ কারণ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। তবে বাংলা আমরা মনে করি বাংলা একাডেমি সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করতে পারলে বাংলা বানানবিষয়ক নৈরাজ্য অনেকাংশেই লুপ্ত হবে। বিশেষত সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহও যদি শুদ্ধ বানানরীতির চর্চা করে তাহলেও বাংলা বানানবিষয়ক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দূরীভূত হতে পারে। এসব বিবেচনায়, বাংলা একাডেমি প্রণীত বানানরীতিই গ্রহণ করা আবশ্যক। বর্তমান সংকলনেও বাংলা একাডেমি প্রণীত বানানরীতিকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এই সংকলনের প্রয়োজনীয়তা কী? সহজে বলা যায়, এই সংকলনে প্রায়শ ভুল হতে পারে এমন সব শব্দের সঠিক রূপটি প্রকাশ করা হয়েছে। আবার সহজ শব্দ ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত যে বাংলা শব্দভাণ্ডারকে সংকুচিত করে চলেছি- তার বিপরীতে অপ্রচলিত শব্দও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই সাথে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বানানরীতিও
অন্তর্ভুক্ত আছে। এতে করে স্কুল পর্যায় থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত সঠিক বানানের চর্চা বাহিত হতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস। অতীব সহজে সঠিক বানান খুঁজে পাওয়ার প্রয়াস আছে এই সংকলনে।
আমরা মনে করি পূর্বে প্রচলিত শব্দসমূহের প্রমিতকরণের মধ্য দিয়ে যে-রূপ নির্ধারিত হয়েছে তাই ব্যবহার করা প্রয়োজন। তাতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শব্দ ও ভাষা দূষণ থেকে মুক্তি পাবে। এই সংকলনটি শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের পাঠকের উপকারে আসবে বলেই বিশ্বাস করি।
